বাঁশখালী সংলাপ:::
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘাতক স্বামী ফরিদুল আলম প্রকাশ মঈনুদ্দীন (৪২) তার স্ত্রী মিনু আক্তারকে (৩৪) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ঘাতক স্বামী ফরিদুল আলম পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলে জানান পুলিশ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলসা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শেওলাবাপের নতুন বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'ঘটনাস্থলে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজনু মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, 'উপজেলার খানখানাবাদ ইউপির ডোংরা গ্রামের কালু ফকির বাড়ির মৃত দুধু মিয়ার পুত্র ফরিদুল আলম প্রকাশ মঈনুদ্দীনের সঙ্গে ২০১০ সালের মার্চ মাসে বাহারছড়া ইউপির পশ্চিম ইলশার মৃত আজিজ আহমদের কন্যা মিনু আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ফরিদুল আলম মোবাইল ব্যবসার সুবাদে প্রায় সময় চট্টগ্রাম শহরে থাকতেন। মাঝে-মধ্যে বাড়িতে আসতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তেমন মিল ছিল না।'
নিহত গৃহবধুর মেঝভাই নেজাম উদ্দিন বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর আমার বোন বেড়াতে আসে। প্রায় সময় তার স্বামী আমার বোনকে টাকার জন্য মারধর করে। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতো। ঘটনার দিন রাতে তার স্বামী এসে আমার ঘুমন্ত বোন মিনু আক্তারের কক্ষে ডুকে বাম চোখের পাশে ছুরিকাঘাত করে কম্বল ঢেকে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে মিনুর শোর চিৎকার শুনে আমার মা সহ আমরা এসে তাকে উদ্ধার করি। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ছবি: ঘাতক স্বামী ফরিদুল আলম প্রকাশ মাঈনুদ্দিন (৪২), পাশে নিহত গৃহবধু মিনু আক্তার (৩২)।
প্রকাশক ও সম্পাদক : শিব্বির আহমদ রানা, ফোন নম্বর: ০১৮১৩৯২২৪২৮, 𝐄-𝐦𝐚𝐢𝐥: 𝐛𝐚𝐧𝐬𝐡𝐤𝐡𝐚𝐥𝐢𝐬𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐩@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
অস্থায়ী ঠিকানা: স্মরণিকা প্রিন্টিং প্রেস। উপজেলা সদর, জলদী, বাঁশখালী, পৌরসভা, চট্টগ্রাম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত